দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কার স্বার্থে বিড়িশিল্পের প্রতি অর্থমন্ত্রী পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন, তা তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীরা। এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিহার না করলে প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রীকে রংপুরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও আল্টিমেটাম দেন তারা।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর রংপুর তামাক চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম ফকির।

তিনি বলেন, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেটা সিগারেট হোক, কিংবা বিড়ি। আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বলতে পারি, সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ক্ষতিকর। কেননা বিড়িতে তামাক কম থাকে এবং সিগারেটে তামাকের পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং বন্ধ করলে বিড়ি ও সিগারেট উভয় বন্ধ করে দিন। কিন্তু তার বদলে অর্থমন্ত্রী ব্রিটিশ টোব্যাকোর সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন বিড়ি বন্ধ করে দেবেন। দেশের একটি কুটির শিল্পের বিপক্ষে কোন স্বার্থে উনি উঠে পড়ে লেগেছেন, তা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে চারটি জেলার মানুষ এই বিড়ি শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাদের জন্য কোন বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বিড়ি শিল্প বন্ধ করা হলে কতজন মানুষ বেকার হয়ে পড়ে, সেটা কি মন্ত্রী জানেন? এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে তা বন্ধ হতে দেব না আমরা। প্রয়োজনে সকল তামাক চাষী ও শ্রমিক রাজপথে আন্দোলনে নামবে।

এ সময় অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে সমিতির সভাপতি হামিদুল হক বলেন, আপনারা সাংবাদিকেরাও জানেন তিনি কেমন ভাষায় কথা বলেন। তিনি এখন বলেন বন্ধ করে দিব, আবার বলছেন এখন নয় পরে। তার বক্তব্যে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে এই অঞ্চলের প্রায় ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। বিড়ি শিল্প ধ্বংস হলে এই অঞ্চলে অন্যান্য পেশাজীবীরাও সমস্যায় পড়বেন। সার্বিকভাবে এই অঞ্চলের মানুষ মঙ্গায় পতিত হবে। এ বিষয়টি কি অর্থমন্ত্রী বিবেচনা করছেন?

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম তুহিন, সদস্য বিকাশ রায়, রুবেল মিয়া, মাসুদ হাসান, আমজাদ হোসেন, মিলন রায় ও নিতাই চন্দ্র।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এপি/আগস্ট ১২, ২০১৭)