দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের আপিল শুনানি হবে আগামী ১০ অক্টোবর। এছাড়া ২৪ আগস্টের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমার নির্দেশও দেন আদালত।

এই দুটি মামলা কার্যতালিকায় আসলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ রবিবার (১২ আগস্ট) শুনানির এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

আদালতে আজহারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন এবং কায়সারের পক্ষে ছিলেন এস এম শাহজাহান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এটিএম আজহার : ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল এটিএম আজহারের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা এস এম ইদ্রিস আলী। ওই বছর ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যুদ্ধাপরাধের ছয় ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর আজহারের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

বিচার শেষে তার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগের পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

রায় ঘোষণার প্রায় এক মাস পর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন আজহার। আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর সেই আপিল শুনানির জন্য এবার কার্যতালিকায় আসল।

সৈয়দ মো. কায়সার : এরশাদ সরকারের কৃষি প্রতিমন্ত্রী কায়সার ২০১৩ সালের ২১ মে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারের প্রায় পুরো সময় তিনি জামিনে ছিলেন।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল করেন কায়সার। আপিলে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরে খালাস চাওয়া হয়েছে। আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর সেই আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসল।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই ছয়জন হলেন- জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

(দ্য রিপোর্ট/কেআই/এআরই/আগস্ট ১৩, ২০১৭)