দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ডেনমার্কের এক সাবমেরিন থেকে রহস্যজনকভাবে নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। তার কোন খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশ সাবমেরিনটির মালিক এবং চালকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে। খবর- বিবিসির।

গ্রেফতার হওয়া পিটার ম্যাডসেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাবে বলেছেন, তিনি কোন অপরাধ করেননি। ওই মহিলা সাংবাদিককে তিনি সাবমেরিন থেকে ঠিকমত নামিয়ে দিয়েছিলেন।

কিম ওয়াল নামে এই মহিলা সাংবাদিকের রহস্যজনক অন্তর্ধানের এই ঘটনাটি নিয়ে ডেনমার্কে তুমুল আলোচনা চলছে।

গত শুক্রবার নিখোঁজ সাংবাদিক কিম ওয়ালের সঙ্গী প্রথম এ ঘটনা পুলিশকে জানান। তিনি বলেন, সাবমেরিনে স্বল্প সময়ের এই যাত্রার পর কিম ফিরে আসার কথা থাকলেও তখনো ফেরেননি।

যে সাবমেরিনটিতে চড়ে কিম ওয়াল গিয়েছিলেন সেটি যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন সেটি পানিতে ডুবে গেছে। সেটি থেকে সাবমেরিনটির মালিক এবং চালক পিটার ম্যাডসেনকে উদ্ধার করা হয়।

কিন্তু সেখানে কিম ওয়ালকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কিম ওয়াল নিউ ইয়র্কে থাকেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান এবং ভাইস ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন।

যে সাবমেরিনে চড়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন সেটির নাম নটিলাস। কোপেন হেগেনের দক্ষিণে সাগরতলে এখন এটি পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা এটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করছে।

ঘটনাটির ব্যাপারে ডেনমার্কের পুলিশ এখনো কিছু জানাচ্ছে না। কেন মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার আগেই তারা কিম ওয়াল খুন হয়েছেন বলে সন্দেহ করছে সেটা স্পষ্ট নয়।

পিটার ম্যাডসেনের 'নটিলাস' সাবমেরিনটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন সাবমেরিন বলে দাবি করা হয়। কিম ওয়াল এই সাবমেরিনটি সম্পর্কে প্রতিবেদন লেখার জন্যই পিটার ম্যাডসেনের সঙ্গে সেটিতে চড়েন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৩, ২০১৭)