দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মনপুরা সিনেমায় সফল জুটি চঞ্চল চৌধুরী-ফারহানা মিলি। ছবিতে একজন অপরজনকে ভালবাসলেও পরিণয় ঘটেনি। তবে এবার ঈদের জন্য নির্মিত নাটক ‘হ্যাপি ফ্যামিলি’তে ঘটেছে এর উল্টোটা। দুজন-দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন তারা, আর তাদের ঘরে আসছে নতুন অতিথি। ঘটনাটি তাদের পরিবারের জন্য সু-খবরই বটে। নাটকটিতে কাশেম ও ভানুমতি চরিত্রে অভিনয় করেন দুজনে।

বৃন্দাবন দাসের রচনা ও দীপু হাজরার পরিচালনায় নাটকটির গল্পে দেখা যায় হাশেম-কাশেম দুই ভাই। আলাদা সংসার। প্রতিদিন সকাল হলেই দুই পরিবারে শুরু হয় ঝগড়া, চলে ঘুমাবার পূর্ব পর্যন্ত। কিন্তু গ্রামবাসীকে তারা বড়মুখ করে বলে আমরা হ্যাপি ফ্যামিলি। গ্রামবাসীও জানে তারা কেমন হ্যাপি ফ্যামিলি। একদিন বড় ভাই হাশেম বউয়ের উপর রাগ করে বিষ পান করতে বাইরে চলে যায়। দিন পার হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরে না সে। সকলে উদ্বিগ্ন। সত্যিই কি হাশেম মরে গেল? এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ঈদের বিশেষ নাটক ‘হ্যাপি ফ্যামিলি।’ এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, ফারহানা মিলি, ফজলুর রহমান বাবু, শাহানাজ খুশী, মাসুদ রানা মিঠু, দিব্য জ্যোতি, শম্য জৌতি, বেলাল প্রমূখ।

এ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, বৃন্দাবন দা’র গল্প বরাবরই অন্যরকম। প্রতিটি চরিত্রেই থাকে ভিন্নতা, কাজও করি মনের আনন্দে। আর দীপুর সাথে এটি আমার ৭ম নাটক। তাই বোঝাপড়াও অনেক পুরনো। নাটকটি অনেক ভালো হয়েছে। আশা করি দর্শকরা বেশ ভালোভাবে উপভোগ করবেন নাটকটি।

ফারহানা মিলি বলেন, এর আগে বৃন্দাবন দা’র দু’একটি নাটক আমি করেছি। তাঁর লেখা একটি ধারাবাহিকেও অভিনয় করছি। যেহেতু নাকটটি পাবনার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা তাই শুরুতে আমার কিছুটা কষ্ট হলেও বৃন্দাবন দা, চঞ্চল দা, খুশী আপা পাশে থেকে সহযোগিতা করায় তেমন কঠিন বলে মনে হয়নি। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দীপু ভাইয়ের সাথে এটি আমার প্রথম কাজ। অনেক ভালো লেগেছে তার কাজের ধরন। খুব ভাল একটি ইউনিট। দর্শকদের মতামতের অপেক্ষায় আছি।

‘হ্যাপি ফ্যামিলি’ নাটকটি আসছে ঈদে গাজী টিভিতে প্রচার হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/আগস্ট ১৩, ২০১৭)