শরীয়তপুর প্রতিনিধি : নড়িয়ায় রাজনগর মালত কান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ কমী নিহতের ঘটনায় ৮২জনকে আসামি করে  নড়িয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার দিন রাতে ৭ জনকে গ্রেফতার করলেও পরে নুতন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মালত কান্দি এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলীবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় ২দিন পর শনিবার গভীর রাতে নিহতের বাবা নুরুল আমিন ফকির বাদী হয়ে ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪০/৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপূর্বে ঘটনার দিন শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ সম্রাট গাজী (২৫) আঃ কুদ্দুছ বেপারী (৫৩) নিরব বেপারী (২০) সিরাজুল মোল্লা (৫৫) আলীমুজ্জামান মীরবহর (৪৫) আঃ সাত্তার মাদবর (৫২) মায়া বেগম (৪৫)সহ ৭ জনকে আটক করে। এরপর  পুলিশ নুতন করে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ দিকে মামলার খবর পেয়ে  মালত কান্দি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। রবিবার দুপুরে নড়িয়া থানা পুলিশ আটককৃত ৭জনকে আদালতে সোপর্দ করেছে। এলাকায় সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। উল্লেখ থাকে যে, নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গাজী ও সাবেক চেয়ারম্যান আলী উজ্জামান মীরমালত সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার দুপুরে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আলী উজ্জামান মীরমালত সমর্থক ইকবাল হোসেন (মাইকেল) ফকির (২৫) নামে যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ সময় ১০ জন গুলীবিদ্ধ সহ প্রায় আরও ৩০ জন আহত হয়।

নিহতের বাবা নুরুল আমিন ফকির বলেন, আমার ছেলেকে যারা গুলি করে হত্যা করে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমার ছেলের খুনীদের ফাঁসি চাই।

নড়িয়া থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৭ জনকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/এনআই/আগস্ট ১৩, ২০১৭)