কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দাবির তিন দিনের মাথায় এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মাহবুবুল হক ভুঁইয়াকে(তারেক)। গত ১৬ আগস্ট ছাত্রলীগ কর্মী ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সাদ ইবনে সাইদ তার ব্যক্তিগত ফেইজবুক প্রোফাইলে স্টাটাসের মাধ্যমে হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ঐ শিক্ষক। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করবেন বলেও জানান তিনি।

১৮ আগস্ট (শুক্রবার) এই সাধারণ ডায়েরি করেন ওই শিক্ষক। শুক্রবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেয় সদর দক্ষিণ থানা।

ভূক্তোভুগী শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে যে দ্রুত তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনবে।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে মাহবুবুল হক ভূঁইয়া সাধারণ ডায়েরি করেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়িকে পাঠানো হয়েছে।’

ঐ স্ট্যাটাসটি নিয়ে মাহবুবুল হক ভুঁইয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এমন উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা গোপনে নয়, ফেইজবুকে প্রকাশ্যে আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমি জীবন নাশের হুমকিতে আছি।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কেউ এমন কাজ করলে তার শাস্তি হওয়া উচিত। শাখা ছাত্রলীগ এর দায়ভার নিবে না।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘এটা সরাসরি হুমকি। কোন ভাবেই এ হুমকি মেনে নেয়া যায় না। এর কঠোর বিচার দাবি করছি। যদি একটি ফেইসবুক স্টাটাস নিয়ে একজন শিক্ষককে শোকজ করতে পারে তবে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নিতে হবে। ’

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মাহবুবুল হক ভূঁইয়া ক্লাস নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে তার বহিস্কারের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফকে স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রলীগ। প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনগুলোয় তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাস অচল করে তিন দিনের বিক্ষোভের মাথায় গত বৃহস্পতবার ঐ শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় প্রশাসন। সেই সাথে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এজে/আগস্ট ১৯, ২০১৭)