দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিয়ানমার সরকারের নির্দেশে সেনা অভিযানে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের প্রতিবাদে সারাদেশে ১৩ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ ও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) জুমাবাদ রাজধানীর বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কর্মসুচি ঘোষণা করেন।

এরপর বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-ঢাকা মহানগর। এ ছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুসল্লিরা।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘এভাবে মুসলিম হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিশ্ব আদালতে বিচার চাই। বর্তমান জাতিসংঘ এখন মুসলিম নিধন সংঘ। তাই এ সংঘ আমরা চাই না। আমরা মুসলিম জাতি সংঘ চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘শত শত বছর ধরে রোহিঙ্গারা আরাকানে বসবাস করছেন। আর তাদের সরকার নাকি বলে রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিক নয়। তারা মিয়ানমারের নাগরিক না হয়ে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, তাহলে আমরা বলব আরাকান রাজ্য বাংলাদেশের অংশ। মিয়ানমারে যদি রোহিঙ্গা নিধন বন্ধ না হয় তাহলে বাংলার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করে, তাদের সঙ্গে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে আরাকান রাজ্য দখল করা হবে।’

দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, ‘অনেক মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধান চুপ আছেন, কারণ তাদের গদিতে থাকতেই হবে। তুর্কির ফার্স্ট লেডি বাংলাদেশে চলে আসলেন, অথচ আপনি প্রধানমন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সেখানে জেতে পারলেন না। এভাবে আপনি চুপ করে থাকলে আগামীতে নৌকা আর উঠতে পারবে না, নৌকা ডুবে যাবে।’

এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসুচি হলো— ১১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ, ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, ১৩ তারিখ সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হবে।

বিক্ষোভ কর্মসুচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, চরমোনাই পীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)