দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশের মাধ্যমিক স্তরের (এসএসসি) ১১টি পাঠ্যবই পরিমার্জণের কাজ চূড়ান্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত কমিটি বইগুলো শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হাতে তুলে দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। আগে ৫টি বই চূড়ান্ত হলেও মঙ্গলবার বিজ্ঞানের ৬টি বই মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষামন্ত্রীর হাতে বইগুলো তুলে দেন।

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে যাবে।

নবম-দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই আরও পাঠযোগ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইতোপূর্বে বাংলা সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতা এবং অর্থনীতির পরিমার্জিত বই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীব বিজ্ঞানের পরিমার্জিত বই হস্তান্তর করা হল। হিসাব বিজ্ঞান বই শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এবার মাধ্যমিকে ১২টি বই তৈরি করছি। ইতোমধ্যে ৫টি বই পেয়েছি। আজকে পাচ্ছি ৬টি বই। একটি বই (হিসাব বিজ্ঞান) বাকি আছে। চমৎকার বই তারা তৈরি করেছেন। এবার আমরা বইগুলো ছাপাবো।’

পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণির বইগুলোও পরিমার্জন করা হবে বলেও জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি সাহস করে ছয়টি বই পরিমার্জনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এখন এগুলো যারা বই ছাপাবে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া যাবে। পেইজ মেকিং কিংবা আর কিচ্ছু করতে হবে না।’

জাফর ইকবার আরো বলেন, ‘বইগুলো করতে আমাদের কিছু অনুরোধ ছিল যে বই রঙিন করতে হবে। ওনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) অনুমোদন দিয়েছেন, এ জন্য হয়তো তাদের কিছু বেশি ফান্ড লেগেছে। বলেছিলাম বিজ্ঞানের কিছু বিষয় আছে সেগুলো ব্যাখ্যা করতে কিছু জায়গা বেশি দিতে হয়, কাজেই বইয়ের সাইজ বড় হতে পারে। ওনারা আমাদের সেই ফ্রিডম দিয়েছেন।’

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা ছেলে বা একটা মেয়ে বইটা হাতে নিলে তার মনটা ভালো হয়ে যায় যে, আহ কী সুন্দর বই। এটা আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল। আমার স্বপ্নটা নিজে নিজে পূরণ করতে পারতাম না যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বাধীনতাটা না দিতো।’

‘প্রফেসর কায়কোবাদ ও আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা দেশের তরুণ প্রজন্ম এবং সবচেয়ে ভালো শিল্পী, সবচেয়ে ভালো যে গ্রাফিক্স জানে, সবচেয়ে ভালো যে প্রযুক্তিবিদ তাদের সঙ্গে নিয়ে বইগুলো তৈরি করেছি। নতুন প্রজন্মের তরুণদের সঙ্গে নিয়ে আমরা বইগুলো লিখেছি।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭)