দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মাধ্যমিক ও উচ্চ মধ্যমিক স্তর থেকে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) উঠিয়ে দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের ছয়টি বইয়ের পরিমার্জিত সংস্করণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সচিব এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘এমসিকিউটা বোধহয় পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেওয়া উচিত, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।’

‘কেন বলছি, এমসিকিউ কিভাবে ধ্বংস করছে! বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষককে যে কোনো উপায়ে কনভিন্স করে ওই কক্ষের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ৩০ মার্কস পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। একজনকে বলে দিচ্ছেন তিনি আবার পাস করে দিচ্ছেন। এটা অর্থের বিনিময়ে হচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে।’

সচিব বলেন, ‘আরেকটা ধ্বংস হচ্ছে যে ভুল উত্তর দিচ্ছেন। অনেকগুলো ঘটনা এমন ঘটেছে, সবগুলো বিষয়ে যে ৮০’র উপরে পেয়েছে কিন্তু এমসিকিউয়ে গিয়ে দেখা গেছে ৭ অথবা ৮ পেয়েছে। সেখানে ১০ পাওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। রাজউক কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে। ১০ জন ছাত্র ফেল করেছে কারণ তারা এমসিকিউয়ে ৭ থেকে ৮ পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা অন্য অভিযোগ করে বলেছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তাদের খাতা নিয়ে গেছে। নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল নইলে খাতা নিয়ে গেল কেন? এরপরও ঢাকা বোর্ডকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি যে, তারা কি ৩০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে নাকি ১০ নম্বরের উত্তর দিয়ে ৮ পেয়েছে। ধারণা করতে পারব খাতা নেওয়াটাই কারণ কি না? নাকি আসলেই কম পেয়েছে। তারা কম পাওয়ার মতো ছাত্র কি না।’

মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে শিক্ষা আইন :

সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে, প্রায় ছয় বছর ধরে কাজ চলছে। শিক্ষা আইন, যে আইনের অভাবে আমরা অনেক কিছু করতে পারি না। আপনারা বলার পরেও বিভিন্ন অভিযোগের পরেও পারি না। সেটি বোধহয় এ সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় তোলার জন্য মোটামুটি রেডি হয়ে গেছে।’

‘খুব কঠিন কঠিন কিছু বিষয় আছে সেখানে আপনাদের সাহায্য লাগবে, আপনাদের লেখালেখিতেও সাহায্য লাগবে। বেশ কঠিন কিছু বিষয় আছে যেটা অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য আমরা সব মহলের মতামত, সমর্থন ও সবকিছু নেয়ার চেষ্টা করেছি। সেগুলো মন্ত্রিসভারও বিভিন্ন সদস্য অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখবেন কারণ বিষয়টি সবাইকে স্পর্শ করবে।’

সচিব বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী। অনেক সময় প্রশ্ন আসে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে। ভর্তি পরীক্ষা পাস-ফেলের বিষয় নয়। নির্ধারিত সিটের বিপরীতে যারা ভালো করবেন তারা ভর্তি হবেন।’

(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭)