টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপার ময়নাতদন্ত রিপোট জমা দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়, মাথায় আঘাতের কারণে রূপার মৃত্যু হয়েছে। তার আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা প্রতিবেদনটি জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম খান মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৫ অগাস্ট রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় রূপার লাশ পাওয়া যায়।

ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের ছাত্রী রূপা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়। ওই দিন বগুড়ায় একটি পরীক্ষা দিয়ে সেখান থেকে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে নিহত হন তিনি।
রূপা যে বাসে আসছিলেন সেই ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচজন গ্রেপ্তারের পর রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী মঙ্গলবার জানান, রূপার পরনের কাপড় ও দাঁতের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করা হয়েছিল।

“আদালত ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। বুধবার এগুলো পরীক্ষার জন্য সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।”

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭)