যশোর অফিস : অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ‘জঙ্গি’ খাদিজা। সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এ সময় খাদিজার সঙ্গে ছিল তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, সোয়াতের আহবানে সাড়া দিয়ে খাদিজা আত্মসমর্পণ করেছে। পাবনা থেকে তার বাবা-মা আসার পর সে আত্মসমর্পণ করে। এরপর সোয়াত সদস্যরা বাড়িটিতে তল্লাশী চালাতে শুরু করে। তবে খাদিজার স্বামী স্বামী মশিউর রহমানকে পাওয়া যায় নি।

খাদিজা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ‘অন্যতম হোতা’জেএমবি নেতা মারজানের বোন বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বলেছেন, দুপুর ১২টার দিকে খাদিজা শর্ত দেয় তারা বাবা-মাকে আনা হলে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। সেই অনুযায়ী তার বাবা-মাকে পাবনা থেকে আনা হয়। তাদের ওই বাড়িতে হাজির করা হলে বেলা ৩টা ৫ মিনিটে খাদিজা তার তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। তবে তার স্বামী মশিউর রহমানকে পাওয়া যায়নি। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল তল্লাশি চলছে।

অভিযান শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

রবিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে যশোর শহরের ঘোপ নোয়াপাড়া সড়কের একটি চারতলা বাড়ি (যেখানে খাদিজা বাস করেন) ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল, সোয়াট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও যশোর পুলিশের একটি দল সম্মিলিতভাবে এই অভিযানে অংশ নেয়। পুলিশ শুরু থেকেই ধারণা করছিল কুষ্টিয়ার জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটের ভেতরে আছেন। তাদের আত্মসমর্পণ করতে কিছুক্ষণ পরপর পুলিশ মাইকে আহ্বান জানায়।

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত হন গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজান।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ০৯, ২০১৭)