দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিনটি বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও)। এই এনজিও গুলোর বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণের নামে ভিন্ন কিছু করার অভিযোগ উঠেছে।

এনজিও তিনটি হলো- মুসলিম এইড, ইসলামিক রিলিফ ও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন।

সংসদ ভবনে বুধবার  (১১ অক্টোবর)অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মাহজাবিন খালেদ বলেছেন, ‘মুসলিম এইড, ইসলামিক রিলিফ ও আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন নামের তিনটি এনজিওকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা কক্সবাজার গিয়ে শুনেছি, কিছু বেসরকারি সংস্থা সেখানে ত্রাণ বিতরণের নামে অন্য কিছু করছে। ত্রাণ বিতরণের নামে অন্য কিছু প্রচার করা বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। আর যারাই ত্রাণ দিতে আসবে, তাদের যাচাই-বাছাই করা এবং সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের কথা বলা হয়েছে।’

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা যে এ দেশে অস্থায়ী ভিত্তিতে বসবাস করছে এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মিয়ানমার ও ভারতসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ ছাড়া বৈঠকে দেশের জনগণের মধ্যে রোহিঙ্গা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় সংযোজন করতে ব্যবস্থা নেওয়া এবং আসন্ন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনসহ (সিপিএ) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যারা যোগ দেবেন, তারা যাতে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উত্থাপন করতে পারেন, সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি সংক্ষিপ্তসার সরবরাহ করার সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি দীপু মনির সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, গোলাম ফারুক খন্দকার এবং মাহজাবিন খালেদ বৈঠকে অংশ নেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ১১, ২০১৭)