দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিনা ভোটের সরকারের বিদায়ের দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২০১৮ সালেই বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরে পাবার বছর। কলঙ্ক মোচনের বছর। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা জনগণকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে চান। কিন্তু বারবার সেই সুযোগ আপনাদের আসবে না। ২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়বে মানুষের ঘরে ঘরে। জনগণের অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগ আর বলপ্রয়োগে প্রতিহত করতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের কথা বলা আপনাদের জন্য হবে অরণ্যে রোদন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পরিণতি কী হবে এটা অনুধাবন করেই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হুমকি আর ধমকের পথ অবলম্বন করেছেন। তারা আবারো অবৈধ পথে ক্ষমতায় যেতে নানা মতলববাজী কথাবার্তা বলছেন।’

তিনি বলেন, ‘অতি ক্ষমতা, অতি দম্ভ, অতি দুর্নীতি, অতি নিপীড়ণ-নির্যাতন, অতি অস্ত্রের আস্ফালন এবং অতি মিথ্যাচারে আপনারা নিজেরাই অতিকায় ডাইনোসরে পরিণত হয়েছেন। সুতরাং আপনারাই প্রাণীকুল থেকে অতি শিগগিরই অবলুপ্ত হয়ে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি ৫ জানুয়ারির মতো কলঙ্কিত নির্বাচন জনগণই প্রতিহত করবে, প্রতিরোধ করবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। ধাপ্পাবাজি, চাপাবাজি করে আর পার পাওয়া যাবে না। আপনারা চারিদিক থেকে যে চ্যালেঞ্জে পড়েছেন তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা আপনাদের নেই।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন (৫ জানুয়ারি) বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সরকার পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে গতকাল বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পণ্ড করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সরকার আরো পৈশাচিক আরো কলঙ্কিত হলো। এমনিতে এই সরকার সকল পর্যায়ে বিতর্কিত।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৮)