দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ ছাড়াই হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অনুমতির চেয়ে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে ঘুষ নেওয়ার মামলায় নাজমুল হুদাকে ৪৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

অরবিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ‘উত্থাপিত হয়নি মর্মে’ আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এদিন আদালতে নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন না।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি নাজমুল হুদার আবেদনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

আকতার হোসেন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর জাহির হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদক নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে। এ মামলায় জাতীয় সংসদ ভবনসংলগ্ন এমপি হোস্টেলে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ২৭ আগস্ট এক রায়ে নাজমুল হুদাকে ৭ বছর ও সিগমা হুদাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। এ আপিলের উপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ এক রায়ে হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে বিচার করার নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটির পুনরায় শুনানি শেষে গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

রায়ে নাজমুল হুদাকে ৪ বছর কারাদণ্ড এবং সিগমা হুদাকে তার কারাভোগকালীন সময়কে সাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। আদালত নাজমুল হুদাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

কিন্তু নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ না করে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদন গত ১০ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ ছাড়াই আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। রোববার সেই আবেদনও খারিজ করে দিলেন আপিল বিভাগ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০৭, ২০১৮)