কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষকের নেতৃত্বে অভিভাবককে মারধরের ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে ঘটনায় শিকার অভিভাবক আয়াত উল্লাহ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রণজিৎ কুমার বড়ুয়া জানান, ছয়জনের নাম উল্লেখ করে পাওয়া এজাহারটি মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে পাঁচ-ছয়জনকে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় শিকার অভিভাবক আয়াত উল্লাহ বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

রবিবার (৬ জানুয়ারি) খরুলিয়া কেজি স্কুল প্রাঙ্গনে অভিভাবককে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার অভিভাবক আয়াত উল্লাহর দাবি, ইচ্ছামাফিক পরিচালিত হচ্ছে স্কুলটি। একটি সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিক স্কুলটিতে বিনা নোটিশে বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। স্কুলশিক্ষক ও পাশের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এসে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেন। এ সময় তা ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখেন কয়েকজন শিক্ষক।

ঘটনার পর পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এসে তার কাছ থেকে উল্টো মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। মারধরের পর তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে জানতে পারেন এসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বললেন ভিন্ন কথা। খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ বোরহান উদ্দিন জানান, প্রায়ই এই ব্যক্তি স্কুলে এসে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেন। রোববার স্কুলে এসে বিনাকারণে গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় তাকে শার্টের কলার ধরে টানাটানি করতে থাকে। চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক ঘটনা জানতে এলে তাকেও ঘুষি মারেন আয়াত। এতে প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক রক্তাক্ত হয়ে আহত হলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাকে মারধর করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৮)