দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত; পেসার আল আমিন হোসেনকে তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিংয়ের অনুমতি দিয়েছে  বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি।

অ্যাকশন শুধরে গত রবিবার মিরপুর একাডেমি মাঠে ক্যামেরার সামনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন আল আমিন। বৃহস্পতিবার সেই পরীক্ষার ফলাফল জানান বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

তিনি বলেছেন, ‘কোচ সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির একজন কোচের সঙ্গে ২৮ দিন কাজ করেছে আল আমিন। পরীক্ষা দেওয়ার পর আমরা তার বোলিংয়ের ভিডিও পর্যালোচনা করেছি। সেখানে ১৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে যে বোলিং করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম আছে। অনেক উন্নতি করেছে সে। বোঝা যাচ্ছে ভালো কাজ করেছে। সামনে যে লিগ আছে সেটির সঙ্গে সে প্রিমিয়ার লিগও খেলতে পারবে।’

নিঃসন্দেহে আল আমিনের জন্য এটা সুখবর। তবে এই সুসংবাদের সঙ্গে একটি সতর্কবার্তাও পেয়েছেন তিনি। দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার রিপোর্টেড হলে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে এই পেসারকে।

এই বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘দুই বছরের মধ্যে দুইবার রিপোর্টেড হলে এক বছর খেলার সুযোগ থাকবে না। সেটা সে ভালো করেই জানে। সে কথা দিয়েছে, আর সমস্যা হবে না। নিজেই স্বীকার করেছে, দু-একটি ডেলিভারিতে তার সমস্যা ছিল। সেগুলো সে কাটিয়ে উঠেছে। মনে হয় না ভবিষ্যতে আর সমসা পড়তে হবে তাকে।’

গত বছর ২৮ নভেম্বর বিপিএলে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন। পরে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির কোচ মাসুদ হাসানের সঙ্গে এই পেসার অ্যাকশন শোধরানোর কাজ করেন বিকেএসপিতে।

২৮ দিন কাজ করার কথা বলা হলেও আল আমিন সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পেরেছেন দুই সপ্তাহ। বাকি দুই সপ্তাহ তাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে ডেঙ্গুর সঙ্গে। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ডেঙ্গু থেকে উঠেই।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/জানুয়ারি ১১, ২০১৮)