পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে যাদের পরীক্ষা রয়েছে তাদের প্রবেশপ্রত্র দেখে হলে থাকতে দেওয়া হবে বলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’ সংঘর্ষের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানালেও তিনি তাদের নাম বা সংখ্যা বলতে পারেননি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে এই সংঘর্ষ হয়। কয়েক দফা সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, তবে কী নিয়ে সংঘর্ষ বাধে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। ক্যাম্পাসসহ হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম না জানিয়ে বলেন, ক্লাব ও সমিতির নামে ছাত্রনেতারা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে চাঁদা নিয়ে অনুষ্ঠানের নামে ভাগবাটোয়ারা করেন। চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

দুই পক্ষে রয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দে ও সভাপতি মাহফুজুর রহমান নয়নের পক্ষ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সভাপতি নয়ন নিয়ন্ত্রণ করেন মেডিসিন ক্লাব। আর সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দে নিয়ন্ত্রণ করেন রোটারি ক্লাব। নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

তবে নয়ন ও অদ্বিতীয় ক্লাব নিয়ন্ত্রণ বা চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।

নয়ন বলেন, ‘কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে অদ্বিতীয় ও তার লোকজন আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। এর প্রতিবাদ জানালে আমাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।’

এ বিষয়ে অদ্বিতীয়র দাবি, তারা নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক সভা করার সময় কিছু জুনিয়র শিক্ষার্থী সিনিয়র ছাত্রীদের উত্যক্ত করছিল।

‘আমরা এর প্রতিবাদ করি। কিছুক্ষণ পরেই তারা সশস্ত্র অবস্থায় এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের সিনিয়র ভাইসহ সাত-আটজন আহত হন।’

অধ্যক্ষ রিয়াজুল হক বলেন, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবু মো. শাফিকুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই তদন্ত দল গঠন করা হয়।

তবে কমিটি কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)