দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সারাদেশে ১ হাজার ১০টি ‘দারুল আরকাম এবদেতায়ী মাদরাসা’চালু করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। প্রতি উপজেলায় দুটি করে ব্যতিক্রমধর্মী এই মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজস্ব সিলেবাসে পাঠদান করা হবে।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এসব মাদরাসায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাস শুরু হচ্ছে। এজন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামিম মোহাম্মদ আফজাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে প্রতিবেদন করা রিপোটারদের সংগঠন রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, ‘দারুল আরকাম এবদেতায়ী মাদরাসা’য় বাংলা, ইংরেজি অংকসহ পাঠ্যসূচিতে কুরআন, হাদীসে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কুরআন ও হাদীস শিক্ষার মাধ্যম হবে আরবী। প্রথম দিকে এটি এবতেদায়ী (পঞ্চম শ্রেণি) পর্যন্ত চালু হলেও এক পর্যায়ে ইন্টারমিডিয়েট (এইচএসচি) পর্যন্ত পাঠদান করা হবে। এরপর হয়তো সেখান থেকে এসব শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা বা বিভাগী পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইফা ডিজি আরো জানান, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রায় ৩২ হাজার ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাছাই করে যোগ্যদের নেয়া হয়েছে। আরো নেয়া হবে। প্রতি মাদরাসায় শিক্ষক থাকবেন ৫ জন। তাদের মধ্যে দুইজন থাকবেন আলিয়ায় শিক্ষিত, দুইজন কওমী ও একজন সাধারণ শিক্ষিত। প্রকৃত আলেম ও মুসলমান তৈরিতে এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীনী শিক্ষা ও দীনী দাওয়াতের ভূমিকা অপরিসীম। দীনী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সামিম মোহাম্মদ আফজাল বর্তমান সরকার এবং তিনি ডিজি হওয়ার পর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেয়া নানা উদ্যোগ, কাজ ও আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন সাংবাদিকদের সাথে।

এ সময় আরআরএফ’র সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভুইয়া, সহ-সভাপতি মিয়া হোসেন, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, অর্থ সম্পাদক রকিবুল হকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/জেডটি/জানুয়ারি ২২, ২০১৮)