দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভবনের ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া মামলার অপর আসামি বিএনপি প্রধানের ছেলে তারেক রহমানসহ বাকী আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর সাদা রঙয়ের গাড়িতে করে তাকে পুরনো কারাগারে নেওয়া হয়।

কারাসূত্রে জানা গেছে, কারাগারে প্রবেশের পর আপাতত খালেদা জিয়াকে পুরনো কারাগারের অফিস ভবনে রাখা হয়েছে। কারাগারের একটি ভবনের ডে-কেয়ার সেন্টার তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

কারা সূত্র আরও জানায়, যে ভবনটিতে খালেদা জিয়াকে রাখা হচ্ছে সেটি আসামিদের শিশু সন্তানদের জন্য একসময় কিডস ডে-কেয়ার সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ওই ভবনের নিচতলার দুটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে তার।

কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা (ভিআইপি) পাবেন খালেদা জিয়া। যদি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে তাকে স্থানান্তর করা হবে।

এদিকে সন্ধ্যার দিকে ওকালতনামা ও খালেদা জিয়ার ব্যবহার্য পোশাক নিয়ে নিয়ে পুরান ঢাকা কারাগারের সামনে আসেন তার আইনজীবীরা। সেগুলো ভেতরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

রায় ঘোষণার আগেই বুধবার রাত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।

এদিকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর নাজিমুদ্দিন রোডের মসজিদের সামনে, বংশাল থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারের রাস্তা এবং চকবাজারের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ। কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বিকল্প রাস্তা দিয়ে ভেতরে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮)