দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কারাগারে থাকতে এইচ এম এরশাদের লাগানো গাছের বরই খালেদা জিয়াকে খাওয়ার সুযোগ দিতে বলেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ এ আহ্বান জানান।

ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিনা অপরাধে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সেই জেলখানায় এখন খালেদা জিয়া। আজ থেকে ২৮ বছর আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি বরইগাছ লাগিয়েছিলেন। সেই গাছে এখন বরই ধরেছে। কারাবিধান অনুযায়ী এ বরই খাওয়া যাবে কি না জানি না। সুযোগ থাকলে খালেদা জিয়াকে সেই বরই খেতে দেওয়া হোক।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সরকারদলীয় সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। তবে যে পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে, তা জিয়া পরিবারের লুটপাট করা অর্থের তুলনায় খুবই সামান্য। এতিমদের হক মেরে খাওয়ায় পচা শামুকে খালেদা জিয়ার পা কেটেছে।

খালেদা জিয়ার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি দলের হুইপ মাহবুব আরা গিনি বলেন, এটি খালেদা জিয়ার কর্মফল। অপরাধ, অন্যায় কখনো কাউকে ছাড়ে না। কথায় আছে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়। এর আধা ঘণ্টা পর খালেদা জিয়াকে কড়া পুলিশি পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি চার আসামি হলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮)