চবি প্রতিনিধি: ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলায় কারাগারে আটক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশে কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫ (এ) ধারা অনুযায়ী আনোয়ার হোসেনকে বরাখাস্ত করা হয়েছে।’

আদেশে বলা হয়, ১৮ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আনোয়ার হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।

উচ্চ অদালত থেকে নেওয়া ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষ হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার। আদালত সে আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হলেও দিয়াজের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী জাহেদা আমিন চৌধুরী তা প্রত্যাখ্যান করে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

শুরু থেকেই দিয়াজের পরিবার ও তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্মাণ কাজের দরপত্র নিয়ে কোন্দলের সূত্র ধরে দিয়াজকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ করা হয়েছে।

পরে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তে দিয়াজকে হত্যার আলামত দেখতে পান চিকিৎসকরাও।

দিয়াজের মায়ের করা মামলায় আলমগীর টিপুসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সঙ্গে তৎকালীন সহকারী প্রক্টর আনোয়ারকেও আসামি করা হয়।

আনোয়ারকে কারাগারে পাঠানোর পর মামলার আসামি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ও পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে এবং অবরোধ করে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮)