কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুবাইপ্রবাসী এক ব্যক্তি।

রবিবার বিকেলে মামলার একমাত্র আসামি উপজেলার গুরুই পশ্চিম পাড়া গ্রামের ইছব আলীর ছেলে শওকত আলী কিশোরগঞ্জ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আবদুন নূরের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিকলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামছুল আলম জানান, শওকত আলী (৩০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী আয়শা আক্তার (২৪) পরকীয়া করছেন—এমন সন্দেহে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন। আর আয়শাকে এ কাজে সহায়তা করার জন্য তাঁর সম্বন্ধীর স্ত্রী সালমা আক্তারকেও (৩০) একই কায়দায় হত্যা করেছেন শওকত। জবানবন্দি শেষে শওকতকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আয়শা আক্তার ও সালমা আক্তারকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা আয়শার স্বামী শওকতকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮)