টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : দ্রুততম সময়ে শেষ হতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রায়। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ মমলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত হলে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নিহত রুপার পরিবার ও মামলার বাদীপক্ষ সকল আসামী সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছেন।

গত ১৫ অক্টোবর পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে আসামি করে রূপা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু।

মামলার বাদি মধুপুরের অরণ খোলা পুলিশ ফঁড়ির ইনচার্জ অমিনুল ইসলামসহ মোট ২৭জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজের ছাত্রী রূপা একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায়। ওই দিন বগুড়ায় একটি পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অগাস্ট রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় রূপার লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়। পরে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর থানা পুলিশ।

পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত নিহত রুপার ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে থানায় সংরক্ষিত ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। এরপর ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কে চলাচলরত ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে মধুপুর থানা পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামীরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮)