দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিশু ধর্ষণের মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের বিচার কোন আদালতে হবে- শিশু আইনের এ সংক্রান্ত অস্পষ্টতা দূর করা নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া ২০১৩ সালে প্রণীত এই আইনের অস্পষ্টতা দূরীকরণে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা জানাতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ সচিবকে তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমম্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

পরে ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

শিশু আইন নিয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় সমাজকল্যাণ সচিব ও লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং সচিবকে এরআগে তলব করেছিলেন আদালত।

২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যাখ্যা না দেয়ায় আইন, লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং এবং সমাজকল্যাণ সচিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক চারটি মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান।

এসব মামলার সব আসামি প্রাপ্তবয়স্ক। শিশু আদালত প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করায় হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

তাছাড়া সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে চার আদালতের সংশ্লিষ্ট বিচারকরা নিজ নিজ ব্যাখ্যা লিখিতভাবে আদালতে দাখিল করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮)