দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের ষষ্ঠ দিনেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সার্টিফায়েড কপি হাতে পাননি। ফলে খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন পিছিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ওকালতনামা নিয়ে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

পরে কারা ফটকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আজকে আমরা কয়েকটি ওকালতনামা জেল সুপারের মাধ্যমে ম্যাডামের কাছে দিয়ে এসেছি। তিনি দেখে-শুনে পরে সই করে দেবেন। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের মামলাসহ অন্যান্য মামলায় ম্যাডাম জামিনে আছেন।’

রায়ের কপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) আমরা দুপুরের পর রায়ের কপি পাব। এটা ঢাকা বিশেষ জজ-৫ আমাদের সরবরাহ করবেন। আমাদের বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় আসতে হবে না। কাল যদি আমরা রায়ের কপি পাই, তাহলে পরদিন হয়তো আপিল ফাইল করতে পারব।’

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, ‘আপনারা গতকাল (সোমবার) কাস্টডি ওয়ারেন্ট ও প্রডাকশন ওয়ারেন্ট পাঠানো হয়েছে এবং শ্যোন অ্যারেস্ট বলে অনেকে নিউজ করেছেন। এর কোনোটাই আসেনি। বন্দি অবস্থায় একমাত্র কোর্ট ছাড়া অন্য কারো এটা দেওয়ার ক্ষমতা নাই। এটা শুধু কোর্ট ইস্যু করবে।’

তিনি আরও জানান, আমাদের জানা মতে এবং কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- এরকম কোনো কিছু আসেনি। যা এসেছে তা কোর্টে হাজিরার নির্দেশনা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া ও সৈয়দ জয়নাল আবদিন মেজবা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পুরানো ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া মামলার অপর আসামি বিএনপি প্রধানের ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায়ের পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। নির্জন কারাগারের একমাত্র বন্দি হিসেবে তিনি সেখানেই আছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮)