দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের কপি বুধবারও (১৪ ফেব্রুয়ারি) হাতে পাননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ফলে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল করা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, কপি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। বিকেল ৪টা নাগাদ তা আইনজীবীদের দেওয়া যাবে। কিন্তু বিকেলে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এ মামলার রায়ের মূল কপি বিচারক বিকেল ৩টায় বেঞ্চ সহকারীর (পেশকার) কাছে কারেকশন করে দিয়েছেন। এখন এ রায়ের অনুলিপি তৈরি করা হবে। এ ছাড়া এ মামলার অন্যান্য কাগজ তৈরি হয়ে গেছে। তাই আজকে কপি পাওয়া যায়নি। আশা করা যায়, কাল হয়তো আমরা রায়ের কপি পাব। দুপুরের মধ্যে কপি পেলে হয়তো সেদিনই আপিল করা সম্ভব হবে।’

এদিকে আদালত সূত্রে জানা যায়, মূল রায় ৬৩২ পৃষ্ঠা হলেও রায়ের অনুলিপি হবে ছয় হাজার পৃষ্ঠার বেশি। ওই অনুলিপি হাতে আসার পরই জামিনের জন্য আপিল করতে পারবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদা জিয়ার পক্ষে রায়ের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত সোমবার অনুলিপির জন্য ৩ হাজার পৃষ্ঠার কোর্টফোলিও আদালতে দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত অপর চারজন হলেন- প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। দণ্ডিতদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮)