দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের ইতিবাচক উন্নয়ন ও বিকাশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের হোটেল লা ভিঞ্চিতে “ভেঞ্চার ক্যাপিটাল : বিনিয়োগের নতুন উদ্যোগ” কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। এরপর তিনি এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

শেয়ারবাজারের রিপোর্টারদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং মসলিন ক্যাপিটাল যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও মসলিন ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন। কর্মশালায় শেয়ারবাজারের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রসঙ্গে ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজার বিকাশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অন্যতম একটি প্রোডাক্ট। এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের আইডিয়াকে বাস্তবে রূপদান করা সম্ভব। আমেরিকাতে ফেসবুক, জেরক্স, ইনটেলের মতো কোম্পানি খ্যাতি অর্জন করেছে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মাধ্যমে। দেশে এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রাইভেট ইক্যুইটি এবং ইমপ্যাক্ট ফান্ড নিয়ে অনেক কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর নতুন ১৪ লাখ জনগন শ্রম বাজারে ডুকছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ব্যাপক অবদান রাখবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরিতেও সহায়তা করবে।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী ও স্টেকহোল্ডারদের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, তাদের স্বার্থ যেকোন ভাবেই হোক ক্ষুন্ন হতে দিব না। স্বার্থ ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থায় নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বিএসইসি অটল রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিভিন্ন আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আইনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। যে কারণে শেয়ারবাজার স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে।

কর্মশালায় অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বা বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুবিধাসহ ঝুঁকিগুলোর সবদিক তুলে ধরেন বক্তরা। একইসঙ্গে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ইমপ্যাক্ট ফান্ড গঠনের কার্যাবলী, আইন-কানুন, এক্সিট রুটসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮)