দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন আর বেশি দূরে নয়। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে এখন থেকে নির্বাচনী কমিটি করতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। কতজন আওয়ামী লীগ করে আর কতজন অন্য দল করে, খাতা-কলমে তা হিসাব করতে হবে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ধামরাইয়ের চৌহাট-আমতাবালিয়া-মির্জাপুর সড়কের বালি এলাকায় বংশী নদীর ওপর একটি সেতু উদ্বোধনের পর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও খারাপ লোককে দলে টানবেন না। দাগি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন দলে না ঢোকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে আচরণ ভালো করবেন। যতই উন্নয়ন করুন না কেন, আচরণ ভালো না করলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। জনগণকে খুশি রাখতে হবে। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না। জনগণ আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাদের পাশে থাকবেন। এমপির পিএস, এপিএস কমিশন খান, কিন্তু এমপি ভালো। আপনি যতই ভালো হন, আপনার পাশের লোক যদি খারাপ কাজ করে তার দায় এড়াতে পারবেন না।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন দুটি উদ্বেগের বিষয়। একটি প্রশ্নফাঁস, আরেকটি হচ্ছে গ্রামে গ্রামে মাদক ছড়িয়ে যাওয়া। এর সঙ্গে জড়িতরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সময় অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। শত শত নেতাকর্মী জেলে। দুজন মন্ত্রী দুদকের মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। সিরাজগঞ্জের মেয়র ও টাঙ্গাইলের এমপি কারাগারে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, শেখ হাসিনার হাত থেকে পার পাওয়ার উপায় কারও নেই।

স্থানীয় সংসদ এম এ মালেকের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮)