দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে সিঙ্গাপুর সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি শিয়েন লুংয়ের দেয়া মধ্যাহ্নভোজে দেয় বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ তরুণ এবং শিক্ষিত। সিঙ্গাপুর প্রযুক্তির দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের জনশক্তি এবং সিঙ্গাপুরের পুঁজি কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে পারলে দুই দেশই আরও লাভবান হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের (সিঙ্গাপুরের)পুঁজি, আধুনিক প্রযুক্তি, ও জ্ঞান রয়েছে। আমাদের (বাংলাদেশের) আছে বিপুল জনশক্তি। তাদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষিত তরুণ। এ ক্ষেত্রে আমার দুই দেশই একে অপরের পরিপূরক হতে পরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। এখানে বিনিয়োগ লাভজনকও। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর উন্নয়নের দুটি দিকে অবস্থান করলেও সমৃদ্ধি অর্জনে দুই দেশের শক্তির জায়গাগুলো পরস্পরের পরিপূরক হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য সিঙ্গাপুর একটি আকর্ষণীয় কর্মস্থল। সিঙ্গাপুর সরকার তাদের জন্য সম্মানজনক একটি কর্মপরিবেশ দেবে বলে আশা করি।

বর্তমানে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন জাহাজ নির্মাণ শিল্পে।
মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব এবং প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।

পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এবং বিমান চলাচলে সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে রোববার সিঙ্গাপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে ১৪ মার্চ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ১২, ২০১৮ )