দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তে আহত তিনজনের কাউকেই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

সামন্ত লাল সেন বলেন, আহত তিনজনের কারো শরীরে বার্ন না থাকলেও দুর্ঘটনার সময় প্রচণ্ড পরিমাণ কালো ধোঁয়া তাদের শ্বাসনালীতে চলে গেছে। এতে তাদের শ্বাসনালীতে সমস্যা হয়েছে। ফলে আলামুন নাহার অ্যানির কালো কাশি বের হচ্ছে। মেহেদীর হাত ও পায়ে আঘাত রয়েছে। স্বর্ণার অ্যাবডমিনে আঘাত আছে। এছাড়া তিনজনই মানসিকভাবে খুব দুর্বল। তারা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তাদের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাকা হবে। শারীরে বার্ন ও ফ্র্যাকচার থাকলে সে সব রোগীকে হাসপাতাল থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তাই তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন।

তিনি বলেন, আমরা আগামী দু-এক দিন তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করবো। তারপর হয়তো বলা যাবে।

এর আগে, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত তিন বাংলাদেশিকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। পরে তাদের দ্রুত বার্ন ইউনিটের ক্যাবিন ব্লকে নেওয়া হয়। একই পরিবারের আহত তিনজন হলেন- মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলিমুন্নাহার অ্যানি। মেহেদী ও স্বর্ণা স্বামী-স্ত্রী এবং অ্যানি মেহেদীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী।

এর আগে নেপাল থেকে তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০৭২ ফ্লাইটে বিকেল ৩টা ৩৬ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার দিকে ৮ নং গেট দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আহত শেহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকা আনা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

একই ভাবে গত বুধবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনকে নেপাল থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।

এছাড়া আহত বাকি ৫ জন নেপালের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে নরভিক হাসপাতালে ইয়াকুব আলী। আর বাকি চারজন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- শাহীন ব্যাপারী, মিসেস ইমরানা কবির হাসি, শেখ রাশেদ রুবায়েত ও মো. কবির হোসেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ১৬, ২০১৮)