চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের উত্তর পাশে নৌকা আকৃতিতে ২ হাজার ৫৬০ ফুটের বিশাল মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌকা আকৃতির ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থেও বিশাল মঞ্চ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপেক্ষায়।

বুধবার (২১ মার্চ) বিকেলে এই নৌকাতেই দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঞ্চের পাশেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের ৪১ উন্নয়ন প্রকল্পের নামফলক। এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরেরও উদ্বোধন করবেন তিনি।

পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, নৌকার আকৃতিতে ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের বিশাল জনসভার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটিয়া আসবেন। এজন্য কচুয়াই ইউনিয়নে ২টি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখতে ও শুনতে পান সেজন্য ঢাকা থেকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ‘কলরেডি’র ১৫০টি মাইক ও ২০ পেয়ার সাউন্ড বক্স আনা হয়েছে। জনসভা মঞ্চের পাশে ২টি ও বিভিন্ন স্থানে আরও ৫টি বড় এলইডি মনিটর বসানো হবে।

এরইমধ্যে মাঠে আসতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী পটিয়ার জনসভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এর আগে সকালে নৌবাহিনীর দুটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। এই অনুষ্ঠান শেষে নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতির পর তিনি পটিয়ায় যাবেন।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে ঢুকতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩টি প্রবেশপথ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটকে মূল প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে ২টি প্রবেশপথ। এর একটিতে সমাবেশে নগর ও উত্তর এবং অন্যটিতে দক্ষিণ জেলার নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন। এছাড়া পটিয়া কলেজ গেট দিয়ে মহিলাদের জন্য একটি আলাদা প্রবেশপথ রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, তিন হাজার ফোর্স আমরা মোতায়েন করছি। এর মধ্যে ১৩০০ ফোর্স চট্টগ্রামের বাইরের এবং ১৭০০ ফোর্স জেলা থেকে যাচ্ছে। হেলিপ্যাড থেকে জনসভাস্থলের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। এই পুরো পথটাতে হিউম্যান চেইনের মতো পুলিশ বেষ্টনী থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জনসভাস্থল ও আশপাশে এসএসএফ, পিজিডি, পোশাকধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের চার স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। সঙ্গে থাকবে মোবাইল পার্টি। তাছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০টি উচ্চমাত্রার ‘ক্লোজ সার্কিট’ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে চন্দনাইশ থেকে ক্রসিং পর্যন্ত ৫শ’ ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ২১, ২০১৮)