দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচীকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকারি এজেন্টদের দিয়ে ভিসির বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠেছে শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে এ আন্দোলনকে প্রবাহিত করতে সরকারের এজেন্টদের দিয়ে হামলা করা হয়েছে কি না। আওয়ামীলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশের ১০ মিনিটের মাথায় এ হামলা সংঘটিত হয়। হামলার সময় সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও দুই ঘণ্টাব্যাপী হামলা চলাকালে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। এ হামলা পরিকল্পিত।

তিনি বলেন, 'ঢাবি ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দখলে ছিল। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ছাড়া আর কেউ এ ধরনের হামলা ও ভাঙচুর করার সাহস রাখে কি?'

তিনি আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা ১৯৭১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে হানাদার বাহিনীর হামলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ছাত্রছাত্রীদের ওপর গুলি, টিয়ার শেল দিয়ে যে নির্যাতন করা হয়েছে এবং শত শত ছাত্রছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় যেভাবে কাতরাচ্ছিল সেটা দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিন্দার ঝড় চলছে।’

খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করাসহ নানা ভাবে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, 'সরকারি মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়াকে অর্থোপেডিক বেড (বিছানা) দেওয়ার সুপারিশ করলেও সেটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা হয়নি। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে কষ্ট দিতে সরকারের নির্দেশে জামিন স্থগিত করে রাখা হয়েছে। আমি দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহম্মেদ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১০, ২০১৮)