দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এবার পাসের হার তুলনামূলক কম হলেও হতাশাজনক নয়। ভবিষ্যতে আরও ভালো করার জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

রবিবার (০৬ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তরের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বরিশাল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন। আর যারা ভালো করতে পারতে পারোনি, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নতুন উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যাও তোমরা আরও ভালো করবে।

তিনি আরও বলেন, তোমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে তোমরাই তো আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে। এজন্য তোমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

এ সময় অভিভাবকের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ অকৃতকার্য হলে বকাঝকা দিয়ে লাভ নেই। তাদের অনুপ্রাণিত করতে হবে, তারা যেন ভবিষ্যতে ভালো করতে পারে। অভিভাবকদের এ আহ্বান জানাই।

এরপর সময় বরিশাল ও বান্দবান জেলা প্রশাসন ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে এ দুই জেলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মত বিনিময় করেছেন তিনি।

বান্দরবান জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের সুফল ভোগ করা সম্ভব হবে। সরকার সারা দেশের মতো পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে।’ সুযোগ পেলে পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরতে যাওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে বরিশালকে আবারও বাংলার শস্য ভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা ভাবছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বরিশাল একসময় বাংলার শস্য ভাণ্ডার চিল, আবারও বরিশালকে বাংলার শস্য ভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’

ভিডিও কনফারেন্স শেষে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্দেশে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময়, পরীক্ষায় ফেল করার জন্য শিক্ষার্থীদের বকাঝকা করতে অভিভাবকদের নিষেধ করেছেন তিনি। শিক্ষকদের উদ্দেশেও একই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো.. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ০৬, ২০১৮)