হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তদের হাতে এক লন্ডন প্রবাসীর মা ও স্ত্রী নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।

রবিবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে ওই উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হচ্ছেন বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী আখলাক চৌধুরীর মা মালা বেগম (৫৫) ও স্ত্রী রুমি বেগম (২২)।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূঁইয়া, নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীসহ নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার (১৪ মে) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আতাউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নারীঘটিত কারণে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সাদুল্লাপুর গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে আকলাক চৌধুরী ওরফে গুলজার দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। প্রায় ২ বছর আগে একই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সুজন চৌধুরীর মেয়ে ও ডা. নজরুল ইসলামের ছোট বোন রুমি বেগমকে বিয়ে করেন তিনি।

বিয়ের পর থেকে তার বাড়িতে শুধু মা মালা বেগম ও স্ত্রী রুমি বেগম থাকতেন। রোববার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ ‘আগুন আগুন’ বলে ওই গ্রামে চিৎকার শুরু হলে গ্রামের মানুষজন ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন। তারা এসে দেখতে পান লন্ডন প্রবাসী আকলাক চৌধুরী ওরফে গুলজার মিয়ার বাড়িতে রক্তাক্ত লাশ পরে আছে।

স্থানীয় লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূ রুমি ও তার শাশুড়ি মালা বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশ দু’টির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূঁইয়া, নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীসহ নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহত রুমি বেগমের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই তিনি বোনের বাড়ির লোকজনের খোঁজ খবর রাখতেন। রোববার রাতে বোন রুমি মোবাইল ফোনে জানায় চোখে আঘাত পেয়েছে ওষুধ দেয়ার জন্য। পরে বোনের পাশের বাড়ির জনৈক তালেব মিয়ার মাধ্যমে রাত ১০টার দিকে ওষুধ দিয়ে পাঠান তিনি। এরপর রাত ১১টার দিকে নির্মম এ ঘটনার খবর পান।

এদিকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা কয়েকজন স্থানীয় লোক জানান, চিৎকার শুনে তারা বাড়িতে ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দু’টি পড়ে থাকতে দেখতে পান।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৪, ২০১৮)