নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় পুলিশের একটি অস্ত্র হারানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ মে) দিনগত রাত ২টায় দাপা আলামিন নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি রিভলবার ও ৩টি বড় ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

ছিনতাইকারী দুই গ্রুপের গোলাগুলির সময়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ত্রিপক্ষীয় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পারভেজ (৩০) নামে ওই আসামি নিহত হন।

নিহত পারভেজ ফতুল্লার দাপা পাইলট স্কুল এলাকার সোবহান মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, রাত ২টার দিকে আলামিননগর এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়লে পারভেজ নিহত হন। পারভেজ এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রবিবার (১৩ মে) রাতে ফতুল্লা রেলস্টেশন রোড এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় কনস্টেবল সোহেল রানার সঙ্গে থাকা একটি চাইনিজ রাইফেল খোয়া যায়। পরদিন অর্থাৎ সোমবার (১৪ মে) সকালে ওই এলাকার দাপা বালুর মাঠ সংলগ্ন একটি ডোবার পাশ থেকে রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সুমন কুমার পাল, কনস্টেবল মাসুদ রানা, আরিফ ও সোহেল রানাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রত্যাহার করা হয়।

পরে সুমন পাল বাদী হয়ে পারভেজসহ তিনজনকে আসামি করে সোমবার রাতে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, পারভেজ ওই অস্ত্রটি লুট করেছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৬, ২০১৮)