খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত এলাকাগুলোর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নেমেছে উঁচু এলাকার পানি। কমছে জেলা শহরের চেঙ্গী নদীর পানিও।

তবে এখনো বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে আছে। পানিবন্দি হয়ে আছে ঘর-বাড়ি ও দোকান-পাট।

জেলা শহরের মুসলিম পাড়া, শব্দমিয়া পাড়াসহ কয়েকটি নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। এসব এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

উঁচু এলাকার পানি কমে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে কমতে থাকে প্লাবিত হওয়া উঁচু এলাকার পানি। রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ হয় বৃষ্টিপাত। আজ সকাল থেকে আকাশ মেঘলা হয়ে আছে। এছাড়া টানা বৃষ্টির পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।

অপরদিকে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা রামগড় ও দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকার পানিও কমতে শুরু করেছে।

এর আগে প্রবল বর্ষণের কারণে গেল সোমবার রাত থেকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মুসলিম পাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, খবং পুড়িয়া, নারাণখাইয়া, ইসলামপুর, গোলাবাড়িসহ পৌর এলাকার আটটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। ভোগান্তিতে পড়ে ৫০ হাজারেরও অধিক মানুষ। পানিতে তলিয়ে যায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের তিন কিলোমিাটার সড়কসহ শহরের কয়েকটি সড়ক। ডুবে যায় খাগড়াছড়ি জেলা বাস টার্মিনালও। প্লাবিত হয়েছে জেলা শহরের নতুন নতুন এলাকাও। টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জেলাবাসীর জীবন-যাপন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে কমতে থাকে প্লাবিত হওয়া এলাকার পানি। রাত থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বুধবার সকাল থেকে নতুন করে বৃষ্টিপাত হয়নি।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় পৌরসভার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। এতে প্রায় ৭-৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার বিশ্বাস।

প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার ৮টি ওয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় এ অবস্থাকে স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতি ও মানবিক বিপর্যয় বলছেন স্থানীয়রা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুন ১৩, ২০১৮)