দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গ্রামগঞ্জের নেতাদের পদচারণায় শনিবার (৭ জুলাই) আবারও মুখরিত হয়ে উঠবে গণভবন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে গ্রামগঞ্জের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গণভবনে রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের তৃণমূল নেতারা উপস্থিত হবেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে হবে।

এ জমায়েতে শেখ হাসিনা তাদের নির্বাচনী দিক নির্দেশনা দেবেন। গ্রামগঞ্জের নেতাদের কথাও শুনবেন। এর আগে ৩০ জুন তৃণমূল নেতাদের প্রথম বর্ধিত সভা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড নেতাদের একটা বিরাট ভূমিকা থাকে। গ্রামের মানুষ কাকে ভোট দেবে, কেন দেবে এ বিষয়ে এসব নেতারা দায়িত্বও পালন করেন। এবার গণভবনে তাদের ডাকা হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাদের সামনে রেখে নির্বাচনী দিক নির্দেশনা দেবেন এবং তাদের কথাও শুনবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। ফলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যেও জোরেসোরে নড়াচড়া শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, দলের মধ্যে যারা ভাঙন সৃষ্টি করছে বা দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখছে তাদের বিষয়েও দিক-নির্দেশনা থাকবে এ সভায়। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের বাইরে যদি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হতে চান তাদের বিষয়ে কঠোর দিক-নির্দেশনা থাকবে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে চিরজীবনের জন্য বহিষ্কারের নির্দেশনা আসতে পারে। এ ছাড়া দলের মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলে গিয়ে বা স্বতন্ত্র নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বদনাম করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, এই বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলীয় ইউপি সদস্যরাও বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকবেন।

বর্ধিত সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত দলীয় চেয়ারম্যান এবং মহানগরের অধীন সংগঠনের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দলীয় নির্বাচিত কাউন্সিলার ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত দলীয় সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ০৭, ২০১৮)