দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হননি, দুর্নীতির দায়ে আদালতের সাজায় কারাগারে আছেন।’

বুধবার (১১ জুলাই) জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তো রাজনৈতিকভাবে অ্যারেস্ট করিনি। তাহলে তো ২০১৫ তেই করতে পারতাম।’

বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া মা হয়ে কিভাবে এতিমের টাকা অপব্যবহার করলেন?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামান্য কটা টাকা এতিম পাবে। সে এতিমের টাকা নিয়ে ১০ বছর মামলা চালিয়ে আজ কারাগারে বন্দি। যে এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে বন্দি, সেটাও কোর্টের রায়ে। আমরা তো রাজনৈতিকভাবে অ্যারেস্ট করিনি। তাহলে তো ২০১৫ তেই করতে পারতাম।’

তাঁর সরকারের সময়ে সারা দেশে প্রশাসনসহ সর্বস্তরে নারীর অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা এখন যুদ্ধ বিমানও চালায়।’ তিনি জানান, কর্মজীবী নারীদের জন্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত হোস্টেল নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনার কথা। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে নারী অধিকার রক্ষা সম্ভব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নারী সমাজও সর্বক্ষেত্রে সুযোগ পেয়েছে এবং তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে পেরেছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা যদি বজায় না থাকত তাহলে তো নারীরা নির্যাতনের শিকার হতো। কারণ ২০০১ সালে আমরা দেখেছি কীভাবে আমাদের দেশের মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।’

তা ছাড়া ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর আশা এমন অবস্থা আর সৃষ্টি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সুরক্ষা, নারীর উন্নয়ন সব কিছু নির্ভর করে একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে তার মধ্য দিয়ে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। উন্নয়নটাও ত্বরান্বিত হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে যে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হয়, বাংলাদেশে তার উদাহরণ।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১১, ২০১৮)