দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এমপিওভুক্তির দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলন স্থগিত করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। গত কয়েকদিন ধরে এ দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঝড়বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ভেতরও অনশন করছিলেন তারা।

বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনশনরত শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।

এর আগে বুধবার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। শিক্ষামন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়, সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন এবং জহুরুল ইসলাম।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ তুলে ধরেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সর্বোচ্চ এমপিওভুক্তির চেষ্টা করা হবে। এজন্য মন্ত্রণালয়ে দুটি কমিটি কাজ করছে। যেসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত হবেন, তাঁরা জুলাই মাস থেকেই বেতন প্রাপ্য হবেন।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করছে। এবারও এমপিওভুক্তির সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে বলেন, ‘আপনারা আর কষ্ট করবেন না।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শিক্ষকদের অনশন ভাঙানোর সময় জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে আপনাদের সমস্যা সমাধানের আশা আমরা দেখতে পাই। এর ভিত্তিতে এবং আপনারা যে দাবি দাওয়া জানিয়েছেন সেটা সামনে রেখে আমরা আশা করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন একটা উপায় বের করবে যাতে করে এ অবস্থার উপযুক্ত সমাধান পাওয়া যায়।’

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষকরা। এর আগে, সরকার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও, এমপিওভুক্ত হয়নি তাঁদের প্রতিষ্ঠান। এবার দাবি আদায় না হলে রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন তাঁরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২৩ জুন থেকে ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রাখেন শিক্ষকরা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১১, ২০১৮)