দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সরকারি অনুমোদন ছাড়া মানসিক হাসপাতাল চালালে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে এমন বিধান রেখে মানসিক স্বাস্থ্য অধিকার আইন-২০১৮-এর খসড়ায় চূড়ান্তর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। ১৯১২ সালে প্রণীত দ্য লুন্সি অ্যাক্টকে হালনাগাদ করে নতুনভাবে মানসিক স্বাস্থ্য আইন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে ২৮টি ধারা রয়েছে। দেশের সব মানসিক হাসপাতাল চলবে প্রস্তাবিত আইনে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মানসিক রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধের বিচারে প্রতিটি জেলায় একটি করে মানসিক স্বাস্থ্য আদালত প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।পাশাপাশি মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে অপরাধের কাজে ব্যবহার করলে প্ররোচনাকারী পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া মানসিক রোগে আক্রান্ত নন, কোনো ব্যক্তিকে মানসিক রোগী বানিয়ে মিথ্যা সনদ দিলে চিকিৎসকের এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

এছাড়া বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল খোলার লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে এসব হাসপাতাল তল্লাশি করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের ৯০ দিনের মধ্যে যে মানসিক হাসপাতালগুলো আছে সেগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি লাইসেন্সবিহীন মানসিক হাসপাতাল চালালে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। একই অপরাধ আবার করলে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

আইনটি কার্যকর হলে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের জন্য পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলা পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, যার সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক। মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অভিভাবক বা আত্মীয় ক্ষুব্ধ হলে প্রতিকারের জন্য এই কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুলাই ১৬, ২০১৮)