দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণ হেরফের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রবিউল হুসাইন।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রবিউল হোসেন বলেন, স্বর্ণ হেরফের হওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণ হেরফের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এটা শুল্ক গোয়েন্দার নিজস্ব রিপোর্ট। এই রিপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সর্ম্পক নাই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মেশিনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মেশিনের মাপের পার্থক্য হয়। এই মেশিন নিয়ে সন্দেহ আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভল্টে স্বর্ণ যেভাবে রাখা হয়েছিল সেভাবেই আছে। কোনো প্রকার হেরফের হয়নি। একটি ক্লাসিক্যাল মিসটেকের ( করণীক ভুল) কারণে স্বর্ণের মানের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর ও শুল্ক গোয়েন্দাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

করণীক ভুলের ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, একটি রিং মানের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব স্বর্ণকার যখন এটি পরিমাণ করেন তখন বলেছিলেন, সেই রিংয়ে ৪০ শতাংশ স্বর্ণ আছে। কিন্তু পরে প্রতিবেদন করার সময় ভুলে ৪০ কে ৮০ (ইরেজিতে শব্দ মনে করে) লিখা হয়। পরে শুল্ক গোয়েন্ট ভল্ট পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তাদের ব্যাখ্যা দেয়া হয়।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ও বস্তুনিষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংবাদের প্রতিবাদ দেয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ জমা আছে। এর মধ্যে ১০ কেজি ৫৭ গ্রাম স্থায়ী স্বর্ণ, বাকিগুলো অস্থায়ী। আর সর্বশেষ ২০০৮ সালে নিলামে স্বর্ণ বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আর নিলাম হয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ১৭, ২০১৮)