দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নাগরিক জীবনে মানুষ যত আয় করে তত ব্যয় বাড়ে। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও জরুরি। কীভাবে খরচ বাঁচিয়ে মাসের শেষে সামান্য হলেও অর্থ সঞ্চয় করা সম্ভব তাই নিয়ে খুব বেশি ভেবে মাথা খারাপ করার প্রয়োজন নেই। কিছু অভ্যাস বদলে ফেলতে পারলে দেখবেন অনেকটা অর্থ বেঁচে যাবে।

কী সেই অভ্যেসগুলো, চলুন জেনে নেওয়া যাক–

১. অনেকে সস্তায় জিনিস কিনে সেখান থেকে কিছু অর্থ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দু’দিন পরই তা অকেজো হয়ে যায়। ফলে আবার তার পরিবর্তে নিয়ে আসতে হয়। এবার ভাবুন, আর একটু বেশি টাকা দিয়ে যদি ভাল জিনিসটি কিনতেন তাহলে দ্বিতীয়বার কিনতে হতো না, তেমনই টাকাও বাঁচতো অনেকটা।

২. বাজারে বের হলে বুঝে খরচ করুন। হিসেব করে নিন কোন জিনিসগুলি না কিনলেও চলবে। এমন অনেক জিনিসই কেনা হয়ে যায়, যা বাড়িতে আনার পর পড়েই থাকে। একবার এমনটা হলে পরেরবার আর এই ভুল নিশ্চয়ই করবেন না। আর তাতেই সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে।

৩. বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করা বা ঘুরতে যেতে কার্পণ্যের প্রয়োজন নেই। বন্ধু বা পার্টনারের সঙ্গে দামী কোনও রেস্তোরাঁয় গিয়ে একগুচ্ছ অর্থ খরচ না করে বাড়িতেই বাইরের খাবার কিনে পার্টির আয়োজন করে ফেলুন। এতে ঘুরতে গেলে যদি কোনও গ্রুপের সঙ্গে যান, তাহলে অনায়াসেই খরচ ভাগ হয়ে যায়।

৪. টানা কাজ করার পর সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে আর রান্নাবান্না করার ইচ্ছে নাই করতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’দিনের রান্না একেবারে করে রাখতে পারেন। তাহলে আর আলাদা করে বাইরে থেকে আনা খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকে না। এতে শরীর ও পকেট দুইই সুস্থ থাকে।

৫. কোনও জিনিস কেনার আগে সময় সুযোগ পেলেই নিজেকে পাঁচটা প্রশ্ন করুন। এটা প্রয়োজন নাকি চাহিদা? জিনিসটা কি খুব দরকারি? জিনিসটা কি আমি আদৌ ব্যবহার করব? কখন কখন ব্যবহার করব? কিনে কি লাভ হবে?

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জুলাই ২৬, ২০১৮)