কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: সম্প্রতি রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা করা হয়, সেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এ কথা বলেন।

সাংসদ মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে তথাকথিত আন্দোলনের নাম করে যে কিছু সহিংসতা ঘটল, যেটা আমাদের কোমলমতি ছাত্রদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন ছিল, দাবি ছিল। এই আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিয়েছে বিএনপি জামায়াত। তাদের অশুভ তৎপরতা অশুভ চক্রান্তের মাধ্যমে এবং এই সহিংসতায় রূপ দেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাঁরা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করার জন্য, চক্রান্ত করে মিথ্যাচার করে ছাত্রদের উসকে দিয়েছিল। আবার একইভাবে তারা সাংবাদিকদের ওপরও হামলা করেছে।’

হানিফ বলেন, ‘সাংবাদিক এবং রাজনীতিক এরা একে অপরের পরিপূরক। সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যম হচ্ছে, সমাজের দর্পণ। সমাজের প্রতিটি অংশের চাইতে যেকোনো ঘটনা সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারে। সেই হিসেবে সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে। আমরা চাই, এই সাংবাদিকদের ওপরে যারা হামলাকারী তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। আমরা চাই, আওয়ামী লীগের অফিসে হামলায় যারা অংশ নিয়েছিল, তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।’

মাহবুব-উল-আলম হানিফ আরো বলেন, ‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল যাতে কমে আসে সেজন্য কঠোর আইন করা হয়েছে। আইনের প্রয়োগ শুরু হলেই বাংলাদেশের সড়ক নিরাপদ হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বারবারই বলেছি, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ নেই। এ দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে আগামীতে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং না করা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের একটা গণতান্ত্রিক অধিকার। কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, নির্বাচনে অংশ নিবেন তাদের সেই অধিকার আছে। যদি মনে করেন, নির্বাচনে অংশ নিবেন না, সেটাও তার অধিকার আছে। এ দেশের আইন সবার জন্য সমান।’

এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম, পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার সোহেল রহমান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোস্তাক আহমেদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ০৮, ২০১৮)