দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলতে যার অবদান ছিল অনেকের চেয়ে বেশি সেই মারিও মানজুকিচ মাত্র ৩২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন। তিনি ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।

রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের জয়সূচক গোল করে দলকে ফাইনালে তোলার কারিগর তিনিই। কিন্তু ফাইনালে জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড একটি আত্মঘাতী গোলের পর দলের হয়েও করেন একটি গোল। কিন্তু ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্রোয়াটদের।

মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিদায় বার্তায় মানজুকিচ আরো লিখেছেন, অবসরের জন্য কোনো সঠিক সময় নেই। যদি সম্ভব হতো আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খেলে যেতাম। কারণ এর চেয়ে গর্বের আর কিছু নেই। কিন্তু আমার মনে হয় বিদায় বলার সময় এসেছে। আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্যের অংশীদারও আমি।

বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়াটা অবসরের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া তার জন্য সহজ করে দেয় বলে জানিয়েছেন মানজুকিচ, বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়াটা আমাকে নতুন শক্তি দিয়েছে। সেই সঙ্গে এটা আমার এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়াটা খানিকটা সহজ করেছে।

তিনি বলেন, আমি ক্রোয়েশিয়ার জন্য আমার সর্বোচ্চটা দিয়েছি। আমি ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় সাফল্যে অবদান রেখেছি।

বায়ার্ন মিউনিখ ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সাবেক এই খেলোয়াড় দেশের সমর্থকদের প্রশংসা করেন।
মানজুকিচ বলেন, আমি সব সময় আমার সেরাটা দিয়েছি। আমার হৃদয় দিয়ে খেলেছি। এই স্বীকৃতি এবং ক্রোয়েশিয়া ও আমার পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

আজকের পর থেকে আমার স্থানও আপনাদের পাশে- সবচেয়ে অনুগত ক্রোয়েশিয়া ভক্তদের মধ্যে।

২০০৭ সালে অভিষেকের পর মানজুকিচ ক্রোয়েশিয়ার হয়ে খেলেছেন ৮৯ ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৩টি। দেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি গোল আছে শুধু ডেভর সুকারের (৪৫টি)।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/আগস্ট ১৫, ২০১৮)