কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। তবে খুনি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

নিহত মশিয়ারের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, “হামলাকারীরা বাড়ির মধ্যে ঢুকে মশিয়ারকে গুলি করতে যায়। মশিয়ার দৌড়ে প্রতিবেশী হামিদ কসাইয়ের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লে তারা তার পিছু নেয়।

“তারা তার পেটে ও বুকে উপর্যুপরি ছুরি মারে। তারপর তারা তাকে পরপর দুটি গুলি করে। একটি গুলি তার কোমরে লাগে। এরপর খুনিরা বাড়ির পাশ দিয়ে রেললাইন ধরে চলে যায়।”

আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুর রশীদ মৃত ঘোষণা করেন বলে তিনি জানান।

চিকিৎসক আব্দুর রশীদ বলেন, “তার শরীরে সাতটি ছুরির আঘাতের চিহ্ন এবং কোমরে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।”

ঘটনার পর ‘ক’ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান, ওসি অপূর্ব হাসান নিহতের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীসহ নিহতের ভাই ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

ওসি অপূর্ব বলেন, পুলিশ খুনি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ খুনিদের চিনতে পারেনি। পুলিশ তাদের আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির সিদ্দিকী বাচ্চু দাবি করেছেন, ‘নিহত মশিয়ার যশোর নগর বিএনপির কর্মী।’

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ২৭,২০১৮)