দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ঈদের আগে ২ দিনে ১০ ঘণ্টায় ৮০০ জনের জামিন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আমি দেখেছি। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করবে।

সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে একটি নিউজ চ্যানেলে ১০ ঘণ্টায় ৮০০ জনের জামিন-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ওই প্রতিবেদনের বিষয়টি নজরে আনলে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন অবিশ্বাস্য গতির জামিনের দেখা মিলেছে ঢাকার সিএমএম আদালতে ঈদের আগে শেষ দুই কার্যদিবসে। ওই দুদিন আবেদন করা শতকরা ৮৫ ভাগ ভাগ্যবানই জামিন পেয়েছেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি বলছেন, এমন ঘটনা বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পর ঘটেনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানালেন, তিনি বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন।

ঢাকা মহানগর এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বা সন্দেহজনকভাবে কাউকে ধরা হলে তাদের হাজির করা হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে। এই আদালত থেকেই ঈদের আগে ২ দিনে ৮০০ আসামির জামিন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালতের পরিসংখ্যান বলছে, স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন প্রায় ৮০-৯০ জন জামিন পান এ আদালত থেকে। যদিও কয়েকশ আসামি বিভিন্ন থানা থেকে আদালতে তোলা হয়।

এবার ঈদুল আজহার আগে শেষ দুই কর্মদিবসে যে ৮০০ জনকে জামিন দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। তার মধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য, ছিনতাইকারী, ইয়াবা মামলার আসামিও রয়েছেন। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিপুলসংখ্যক আসামির জামিন পাওয়ার ঘটনায় হতবাক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম তালুকদার। তিনি বলেন, বিরোধিতার পরেও একসঙ্গে এত আসামির জামিন ২০০৭ সালের পর হয়নি।

জানা গেছে, আদালতে হাজির করার পর ১৯ আগস্ট জামিন আবেদন করা ৪০৭ জনের মধ্যে ৩১৭ জন এবং ২০ আগস্ট ৫৯০ জনের মধ্যে ৪৩২ জন জামিন পান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ২৭, ২০১৮)