দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘অনেক দল নির্বাচন করবে। অনেক দল প্রস্তুত আছে নির্বাচন করার জন্য। অনেকে বড় বড় কথা বলছেন তো, দেখবেন নির্বাচনের সময় তারা ঠিকই নির্বাচন করবে।’

মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আমার আশা করি এ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচন করার অধিকার সবারই আছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে। সংবিধান অনুযায়ী ইউরোপ, আমেরিকা, ভারতে, মালয়েশিয়ায় যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার আমাদের কোনো সুযোগ নেই। কারণ মাত্র তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করব বিএনপি নির্বাচনে আসবে। যদি না আসে আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি এবার তারা ভুল করবে না। নির্বাচনে এসে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। শর্ত দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রশ্নই উঠে না। না এলে নির্বাচন আপন গতিতে হবে।’

এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে গোপালগঞ্জে এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) তৃতীয় প্রকল্প শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ওষুধ সেক্টরে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে।’

মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, ‘এ প্রকল্প চালু হলে এখান থেকে উৎপাদিত ওষুধ সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হবে।’

আগামী মাসের যেকোনো দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্পের চারটি ইউনিটের মধ্যে পেনিসিলিন ইউনিটটি সেপ্টেম্বরে ট্রায়াল উৎপাদনে যাবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এটি পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদনে যাবে। তা ছাড়া অন্য ইউনিটগুলোর পূর্ণ উৎপাদনে যেতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। এই ইউনিটে পেনিসিলিন জাতীয় ১২ ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করা হবে। ইডিসিএলের নতুন এই কারখানায় ৭৭৮ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ইডিসিএল সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মোট ওষুধের চাহিদার ৭২ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। এই কারাখানা উৎপাদন প্রক্রিয়া পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে শতভাগ ওষুধ সরবরাহ এখান থেকে সম্ভব হবে।’

২০১৫ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারি এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সাতশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পুরো ব্যয় বহন করা হচ্ছে সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/আগস্ট ২৮, ২০১৮)