দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বড়পুকুরিয়ার কয়লা উধাওয়ের পেছনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলা ছিল বলে মনে করছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির মতে, কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে কয়লা মজুদের বিভ্রান্তিকর তথ্য এসেছে। প্রচলিত আইনে দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে সংসদীয় কমিটি।

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। কয়লা মজুদে সিস্টেম লস হয়ে থাকলেও সেটা আগে থেকে হিসাবে ধরা হয়নি কেন, তা নিয়েও বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়। এ ছাড়া কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় চলমান তদন্তের প্রতিবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে পেশ করতে বলা হয়েছে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাংসদ শিবলী সাদিক এবং নাসিমা ফেরদৌসী অংশ নেন।

বড়পুকুরিয়ার কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় গত ২৪ জুলাই খনির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলার ১৯ আসামিসহ ৩২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে।

বৈঠকের পর তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, এটা প্রমাণিত। তিনি বলেন, এখন বলা হচ্ছে সিস্টেম লস। তাই যদি হয়, তা আগে হিসাব করা হয়নি কেন।

জ্বালানি বিভাগ থেকে পাঠানো সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রে বলা হয়েছে, কয়লা উৎপাদনের পর উন্মুক্ত স্থানে মজুদ রাখায় গ্রীষ্ফ্মকালে প্রচণ্ড গরমে কয়লায় আগুন ধরে যাওয়া, আগুন পানিতে নেভানো, ঝড়ো হাওয়ায় কয়লা উড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে প্রতি বছর কিছু ক্ষতি হয়। ওই হিসাব বছরভিত্তিক কয়লার মোট হিসাবের সময় তা সমন্বয় করা হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ২০০৫ সাল থেকে ওইসব কারণে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি-না, হলে পরিমাণ কত- তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পেট্রোবাংলা থেকে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৈঠকে গ্যাস অনুসন্ধান ও কূপ খননের বিষয়ে বাপেপকে অধিকতর শক্তিশালী ও সক্ষম করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া এলএনজি আমদানির পরিমাণ ও শিল্প খাতে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ৩০.২০১৮)