দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে নতুন যুক্ত হওয়া বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া একটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিতা কেটে ড্রিমলাইনারটির উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর তিনি বিমানটিতে উঠে এর বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী (অব.) বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর একই দিন ড্রিমলাইনারের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

গত ১৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসে বিমানটি।
১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রা শুরু হয়। বারী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান এয়ারলাইন্সে নতুন যুক্ত হওয়া বোয়িং-৭৮৭ বিমানটিতে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিও সুযোগ-সুবিধা।

ড্রিমলাইনার আকাশবীণা যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টিতে। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে এর নামকরণ করা হয় আকাশবীণা।
ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন- যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দময় করতে ড্রিমলাইনার নতুন মাত্রা যোগ করবে। বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার ফলে আমাদের চলমান বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট বৃদ্ধি ও নতুন রুটে ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে। এ বিমান জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়া খরচ কমবে, মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ড্রিমলাইনার আকাশবীণা বহরে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো।

তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। সেই চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি বিমান। বাকি চারটি বিমান হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি বিমান বহরে যুক্ত হলো। বাকি তিনটি বিমানের একটি এ বছর নভেম্বরে এবং সর্বশেষ দুটি আসবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে।

আকাশবীণায় আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। দু’পাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একইসঙ্গে জানালার বোতাম টিপে আলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। জানালা ছাড়াও কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম।

টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। এটি ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল বেগে উড়তে সক্ষম। বিমানটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই)। বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হবে ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮)