টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার জামিন আদেশকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল শহরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে।
বুধবার ছিল রানার জামিন আদেশের দিন। সকালে এক পর্যায়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে, তিনি জামিন পাচ্ছেন। এ খবরে তার নির্বাচনী এলাকা ঘাটাইল থেকে চার-পাঁচশ' লোক আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণের চারদিকে চেকপোস্ট বসানো হয়।

দুপুরে সাংসদ রানার কয়েকশ' সমর্থক জেলা সদর গেট দিয়ে আদালতে প্রাঙ্গণে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে তারা এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর দুই দফায় লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করে পুলিশ। রানার সমর্থক রাইসুল ইসলাম রাব্বি ও মাজাহার হোসেন তমালের কাছে পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এ ছাড়া অপর ছয়জনের কাছে দেশি অস্ত্র ছিল। লাঠিচার্জের সময় রানার সমর্থকদের ফেলে যাওয়া ২৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।

এদিকে, সাংসদ রানা ও তার ভাইদের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণ ও শহরে মিছিল-সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে তারা আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে।

এতে বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াজেরুল ইসলাম জোয়াহের, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, মামলার বাদী নাহার আহমেদ, সাইফুজ্জামান সোহেল, তানভীর হাসান ছোট মনি, গোলাম কবিরিয়া, বড় মনি প্রমুখ।

টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ রানাকে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ না হওয়া এবং জামিন না পাওয়ায় সকাল ১১টায় তাকে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই মামলায় বুধবার রানার জামিন নামঞ্জুর করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ০৫,২০১৮)